অর্থাৎ যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করে, আল্লাহ তায়ালা তাঁর পরিত্রাণের ব্যবস্থা করেন। (সূরতুত তালাক, ৬৫ : ২)

প্রচ্ছদ

বায়তুল্লাহ বা কাবা থেকে উত্তর-পূর্বে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে সুউচ্চ একটি পাহাড়ের নাম ‘জাবালে হেরা’ বা হেরার পাহাড়। এর উচ্চতা প্রায় এক হাজার ফুট। এর চুড়ায় রয়েছে প্রায় বিশ ফুট দৈর্ঘ, পাঁচ ফুট প্রস্থ ও ছয় ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট একটি গুহা। এর নাম ‘গারে হেরা’ বা হেরা গুহা। রসূলুল্লহ (সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাঝে মাঝে এ নির্জন গুহায় আল্লাহর ধ্যানে নিমগ্ন থাকতেন। সেখানে অবস্থানকালে আল্লাহ তায়ালা এক গভীর রাতে জিবরাঈল আমীনের মাধ্যমে রসূলুল্লহ (সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর কুরআন মাজীদের সূরতুল আলাকের পাঁচটি আয়াত নাজিল করেন। এ সময়  তিনি তাঁকে আয়াতের শব্দ পড়তে বলেন এবং চাপ প্রয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁর কলবে নূর সঞ্চার করেন। এরপর থেকে পাহাড়টি ‘জাবালে নূর’ অর্থাৎ ‘আলোর পাহাড়’ নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে। 

 

লেখক পরিচিতি

বাংলাদেশের যশোর জেলার অন্তর্গত কেশবপুর উপজেলার ২নং সাগরদাড়ী ইউনিয়নের কাঁস্তা গ্রামে বাংলা ১৩৭০ সনের ৪ আষাঢ়, ইংরেজী ১৯৬৩ সালের ১৮ জুন, হিজরী ১৩৮৩ সনের ২৬ মহররম, রোজঃ মঙ্গলবার লেখক মুহাম্মদ আব্দুর রহমান-এর জন্ম হয়। তাঁর পিতাঃ মৌলভী শাহাদত হোসেন ও মাতাঃ রহিমা খাতুন। শৈশবে পিতা তাঁকে কুরআন-হাদীসের ইলম (বিদ্যা) শিক্ষার উদ্দেশ্যে স্থানীয় ভালুকঘর মাদ্রাসায় ভর্তি করেন। তিনি হাদীস ও ফিকাহশাস্ত্রে কামিল এবং ইসলামী স্টাডিজের উপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। কর্মজীবনে তিনি শিক্ষকতা পেশা বেছে নেন। তিনি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা বিশিষ্ট শায়েখ মুহাম্মদ নূরূল বাশার (রহমাতুল্লহি আলাইহি)-এর সহবতে প্রায় ৩৩ (তেত্রিশ) বছর যাবৎ ‘নেসবতে সিদ্দীকী’ শিক্ষা অর্জন করেন। এ ছাড়াও তিনি ভারতের হুগলি জেলার ফুরফুরা শরীফের শায়েখ হাফেজ মাওলানা সিবগাতুল্লহ সিদ্দিকী (মাদ্দা জিল্লুহু আলাইহি)-এর সহবত অবলম্বন করেন। তিনি ইসলামী আকিদা অর্জন ও উন্নত চরিত্র গঠনের লক্ষ্যে ‘জলসায়ে রাবেতা ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে নেসবতে সিদ্দীকীর শিক্ষার তালকিন-তারবিয়াতের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তিনি বেশ কয়েকখানা গ্রন্থ রচনায় আত্মনিয়োগ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম

 এ গ্রন্থের নাম ‘রাবেতা’ (মহব্বতের বন্ধন)

——————–

১. নেসবতে সিদ্দীকী : আবু বকর সিদ্দীক (রদিয়াল্লহু আনহু) রসূলুল্লহ (সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহবত অবলম্বনে আল্লাহর মারেফতের যে বিশেষ নিসবত বা সম্মন্ধ প্রাপ্ত হয়েছিলেন তাই ‘নেসবতে সিদ্দীকী’

ভূমিকা

আল্লাহর নামে শুরূ করছি, যিনি অসীম দয়ালু ও অশেষ দাতা। সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য যিনি জগতসমূহের সৃষ্টিকর্তা ও রব। তিনি স্বীয় অস্তিত্ব, নাম ও গুণাবলীতে সমকক্ষহীন। তিনি প্রকারবিহীন; তাঁর কোনো উদাহরণ নেই। দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক সর্বশেষ নবী মুহাম্মদুর রসূলুল্লহসহ পূর্ববর্তী নবীগণের উপর। অবিরাম ধারায় রহমত বর্ষিত হোক সাহাবায়ে কেরাম, আহলে বায়েত, উম্মাহাতুল মু’মিনিন, খোলাফায়ে রাশেদিন, তাবিয়্যীন, তাবে তাবিয়্যীন, আয়েম্মায়ে মুজতাহিদীন, সলফে সালেহীন ও সকল মু’মিনের প্রতি।

আল্লাহ তায়ালা মানুষের ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য দেহ সৃষ্টির পূর্বে অতিইন্দ্রীয়রূহ ও কলব সৃষ্টি করেছিলেন এবং আলমে আরওয়াহতে রূহকে কলবের মাধ্যমে মোশাহাদাহও মহব্বতে নিমগ্ন রেখে তাদের নিকট থেকে অহদানিয়্যাতের অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলেন। পরে তিনি রূহকে নফসে আম্মারার সাথে সম্পৃক্ত করলে শয়তান কলবে বসে মোশাহাদা ও মহব্বত এবং অহদানিয়্যাতের অঙ্গীকার ভুলিয়ে দেয়। ফলে কলব ধীরে ধীরে রোগগ্রস্থ, কালিমাচ্ছন্ন, মরিচাপূর্ণ হয়ে যায়। 

মরিচাপূর্ণ মৃতপ্রায় কলবের রোগ বা মরিচা দূর করে পবিত্র জীবনদানের উদ্দেশ্যে আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে পথপ্রদর্শক হিসেবে নবী-রসূল প্রেরণ করেছেন এবং তাঁদের উপর সংবিধান বা নির্দেশণা গ্রন্থ হিসেবে কিতাব ও সহিফা নাজিল করেছেন। কিতাব ও সহিফার কালাম নূর সম্বলিত। কুরআন মাজীদের নূর সম্বলিত কালামের লিখিত, পঠিত ও শ্রূত রূপ মু’জিজা বা অলৌকিক। এ কালামের নূরের প্রভাবে রসূলুল্লহ (সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কলব আল্লাহর প্রতি বিশেষ মহব্বতে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। এরপর তাঁর সহবত থেকে এ নূর সাহাবাগণের কলবে সঞ্চারিত হয়। ফলে তাঁরা আল্লাহ ও রসূলের প্রতি প্রগাঢ় মহব্বতে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। তারপরে এ নূর সাহাবাগণের কলব থেকে তাবিয়ীগণের কলবে এবং তাবিয়ীগণের কলব থেকে তাবি তাবিয়ীগণের কলবে ধারাবাহিকভাবে সঞ্চার হতে থাকে। ফলে তাঁরাও আল্লাহ এবং রসূলের মহব্বতে বিশেষভাবে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। কলব থেকে কলবে নূর সঞ্চারণের মাধ্যমে আল্লাহ ও রসূলের প্রতি মহব্বত সৃষ্টির এ প্রক্রিয়া চুম্বকের পাশে অবস্থিত লৌহখন্ডে চৌম্বকীয় আবেশ সঞ্চারের মত। এ নূর ধারাবাহিকভাবে পরস্পর সহবতের মাধ্যমে কলব থেকে কলবে সঞ্চার হওয়ার প্রক্রিয়া আজও চলমান আছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত তা চলমান থাকবে।  আল্লাহ ও 

 

রসূলের প্রতি মহব্বতের উৎস এ নূরকে ফয়েজ বলা হয়। এ ফয়েজকে আবার কলবী ইলম, রুহানি কুওয়াত১০, ইলমে তাসাউফ১১, ইলমে লাদুন্নি১২, ইলমে বাতেন১৩, ইলমে আসরার১৪ এবং ইলমে মারেফতও১৫ বলা হয়ে থাকে। 

আতশী কাচের মধ্য দিয়ে দাহ্য বস্তুর উপরে সূর্য কিরণ পতিত হলে যেমন আগুন ধরে যায়, তেমনি ফয়েজের মহব্বতের আগুনে রোগগ্রস্থ, কালিমাচ্ছন্ন ও মরিচাপূর্ণ কলবের ময়লা দূরীভূত হয়ে রোগমুক্ত, পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র হয়। এ প্রক্রিয়াকে তাসফিয়ায়ে কলব (কলব পরিচ্ছন্নকরণ) বলে। কলব পরিচ্ছন্ন হলে সংশ্লিষ্ট নফসে আম্মারা তাজকিয়া (পরিশুদ্ধ) হয়ে লাওয়ামাহ থেকে মুতমাইন্নায় পৌঁছায়। এ প্রক্রিয়াকে তাজকিয়ায়ে নফস (নফস পরিশুদ্ধকরন) বলে। 

ফয়েজের মহব্বতের মাধ্যমে কলবের তাসফিয়া ও নফসের তাজকিয়া অর্জন করার জন্য সিলসিলাভূক্ত১৬ মুহাক্কিক১৭ শায়েখের (মুর্শিদের) সাথে রাবেতার১৮ বন্ধনে (মহব্বতের বন্ধনে) আবদ্ধ হয়ে তাওয়াজ্জুহ অর্জন করা আবশ্যক। অথচ কেউ কেউ এ প্রক্রিয়ায় তাসফিয়া ও তাজকিয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। তারা তাসফিয়া ও তাজকিয়ার জন্য শুধু শরীয়তের বিধিবিধান প্রতিপালন করাকে যথেষ্ট মনে করে থাকেন। কেউ কেউ আবার ফয়েজ-প্রাপ্তির প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেন, কিন্তু শরীয়তের বিধি-বিধান প্রতিপালনের প্রতি আগ্রহী নন। কেউ আবার এ  প্রসঙ্গে দ্বিধা-দ্বন্ধে ভোগেন; কেউবা আবার বিরোধিতাও করেন। 

উল্লিখিত বিভ্রান্তি সমাধানের লক্ষে ‘রাবেতা’ (মহব্বতের বন্ধন) গ্রন্থটি প্রকাশিত হল। আশাকরি কুরআন মাজীদের নূর বা ফয়েজ অর্জনের ক্ষেত্রে কামিল-মুকাম্মিল শায়েখের সহবত অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবনে গ্রন্থখানা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লহ।                                                                   

                                                                      

 

লেখক

মুহাম্মদ আব্দুর রহমান

সংগঠক

জলসায়ে রাবেতা ফাউন্ডেশন

গ্রামঃ কাস্তা, ডাকঃ ভালুকঘর

উপজেলাঃ কেশবপুর, জেলাঃ যশোর

বাংলাদেশ।

মোবাইল নং- ০১৭৩৪-১০৮৮৭২৭

 

 ৮

ভূমিকার টিকাঃ

১. রব : رَبْ (রব) আল্লাহ তায়ালার সিফাত বা গুণ বিশেষ। رَبْ (রব)-এর শাব্দিক অর্থ পালনকর্তা বা প্রতিপালক। পরিভাষায় তাঁকে রব বলা হয়- যিনি সৃষ্টিকে শুরূ থেকে ধীরে ধীরে পূর্ণতার দিকে পৌঁছে দেন। 

২. ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য : যে সকল অঙ্গ বা শক্তি দ্বারা বাহ্যিকভাবে কোনো উপলব্ধি বা জ্ঞান জন্মে এবং কর্ম  সাধন করা যায় তা ইন্দ্র। ইন্দ্র তিন ভাগে বিভক্ত। (১) জ্ঞানেন্দ্রিয় যেমন : চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহ্বা ও ত্বক। (২) কর্মেন্দ্রিয় যেমন : বাক, হস্ত, পদ, পায়ূ অর্থাৎ মলদ্বার বা গুহ্যদ্বার এবং উপস্থ অর্থাৎ জননেন্দ্রিয় বা লিঙ্গ। (৩) অন্তরিন্দ্রিয় যেমন : মন, বুদ্ধি ও চিত্ত। ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে অনুভূত জ্ঞান বা অবগতি ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য

৩. অতীন্দ্রিয় :  ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে যে অবগতি লাভ করা যায় না। 

৪. আলমে আরওয়াহ : আল্লাহ তায়ালা রূহসমূহকে সৃষ্টি করে যে জগতে রেখেছেন। 

৫. মোশাহাদাহ : কলবের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার বেমেছালি বা প্রকারবিহীন দর্শন। 

৬. অহদানিয়্যাত : আল্লাহ তায়ালার শরীকবিহীন ইবাদত।

৭. নফস : নফস শব্দের আভিধানিক অর্থ জীবাত্মা, জীবন, মানুষ, মন ও প্রবৃত্তি। আর নফস শব্দের পারিভাষিক অর্থ ষড়রিপুর তাড়না কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, মাৎসর্য। নফস তিন প্রকার : ১. নফসে আম্মারা : আম্মারা অর্থ হুকুমকারী, আকাঙ্খা পোষনকারী ও সম্পাদনকারী। সে মতে শরীয়তের বহির্ভূত কাজের প্রতি আকাঙ্খা পোষনকারী ও সম্পাদনকারী নফসকে নফসে আম্মারা বলে। ২. নফসে লাওয়ামাহ : লাওয়ামাহ অর্থ প্রত্যাবর্তনকারী। যে নফস অনুতপ্ত হয়ে ন্যায়ের দিকে প্রত্যাবর্তন করে, তাকে নফসকে লাওয়ামাহ বলে। ৩. নফসে মুতমাইন্নাহ : মুতমাইন্নাহ অর্থ প্রশান্ত। যে নফস শরীয়ত বহির্ভূত চাওয়া পাওয়া থেকে মুক্তি পেয়ে আল্লাহর মর্জির উপর প্রশান্ত হয়, তাকে নফসে মুতমাইন্নাহ বলে। 

৮. ফয়েজ : ফয়েজ অর্থ প্রবাহমান বা চলমান। কুরআন মাজীদের নূর কলব থেকে কলবে ধারাবাহিকভাবে চলমান। এ প্রক্রিয়ার নাম অনুসারে এ নূরকেই ফয়েজ (প্রবাহমান বা চলমান) বলা হয়। 

৯. কলবী ইলম : অর্থ কলবের ইলম। কলবে অর্জিত ও ধারণকৃত ইলমের নাম কলবী ইলম। 

১০. রূহানী কুওয়াত : অর্থ রূহের ক্ষমতা। এ ইলমের মাধ্যমে রূহের হারানো ক্ষমতা ফিরে আসে, এজন্য এর নাম রূহানী কুওয়াত। 

১১. ইলমে তাসাউফ : অর্থ পরিশুদ্ধ ও পরিচ্ছন্ন করার ইলম। এ ইলমের মাধ্যমে কলব পরিচ্ছন্ন ও নফস পরিশুদ্ধ হয়। এ জন্য এ ইলমের নাম ইলমে তাসাউফ।  

১২. ইলমে লাদুন্নি: লাদুন্নি অর্থ নৈকট্য। এ ইলমের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য অর্জন করা যায়। এজন্য এ ইলমের নাম ইলমে লাদুন্নি। 

১৩. ইলমে বাতেন : বাতেন অর্থ গোপন। এ ইলমের মাধ্যমে আল্লাহর যে পরিচয় লাভ হয়, তা বান্দা ও আল্লাহর মাঝে গোপন থাকে। এ জন্য এ ইলমের নাম ইলমে বাতেন।  

১৪. ইলমে আসরার : আসরার অর্থ অধিক গোপন। এ ইলমের মাধ্যমে আল্লাহর যে পরিচয় লাভ হয় তা গোপন থেকেও গোপন। এ জন্য এ ইলমের নাম ইলমে আসরার। 

১৫. ইলমে মারেফত : মারেফত অর্থ পরিচয়। এ ইলমের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার প্রকারবিহীন বিশেষ পরিচয় লাভ করা যায়। এ কারনে এ ইলমকে ইলমে মারেফত বলা হয়।

১৬. সিলসিলা : সিলসিলা অর্থ ধারাবাহিক। নূর বা ফয়েজ রসূলুল্লহ (সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কলব থেকে সাহাবা, সাহাবা থেকে তাবিয়ী, তাবিয়ী থেকে তাবি তাবিয়ী ও তৎপরবর্তীগনের কলবে পরস্পর ধারাবাহিকভাবে সঞ্চারণ হওয়াকে সিলসিলা বলে।

১৭. মুহাক্কিক : শরীয়তের অনুসারী অর্থাৎ ফিকাহ, আকাইদ ও তাসাউফের আমলকারী অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে মুহাক্কিক বলে।

১৮. তাওয়াজ্জুহ: নূর বা ফয়েজসম্পন্ন কলববিশিষ্ট মুহাক্কিক ব্যক্তির কলবী খেয়াল বা আত্মীক দৃষ্টি অন্য কলবে পতিত হওয়াকে তাওয়াজ্জুহ বলে। 

১৯. রাবেতা : রাবেতা অর্থ মহব্বতের বন্ধন। আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে ফয়েজ অর্জনের জন্য মুহাক্কিক অলীর সাথে মহব্বতের বন্ধন সৃষ্টি করাকে রাবেতা বলে।